রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে যাত্রীরা আসতে শুরু করেন। টিকিট কাউন্টারগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রীদের চাপ থাকায় বাসযাত্রীদের সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে অনেক যাত্রী হতাশা ব্যক্ত করেছেন। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। গাবতলী টার্মিনালে বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের ভিড় ছিল।
সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে সায়েদাবাদ টার্মিনালে শ্যামলী বাস কাউন্টার মাস্টার রিয়াদ আহম্মেদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের প্রায় সব বাসের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকা-সিলেট রুটের বাসগুলোর টিকিটও শেষ। সকাল থেকে যাত্রীরা বাস কাউন্টারে ভিড় করতে শুরু করেন।
মির্জা খান নামের একজন যাত্রী সকাল নয়টায় আসেন সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে। সিলেটে যাবেন তিনি। কয়েকটি কাউন্টারে ঘোরার পরও টিকিট জোগাড় করতে পারেননি। একপর্যায়ে প্রথম আলোকে মির্জা খান বলেন, টিকিট সব শেষ হয়ে যাবে, তা তিনি ভাবেননি। আগে থেকে টিকিট কাটলে ভালো হতো। টিকিট না পেলে কীভাবে বাড়ি যাবেন? একই আক্ষেপ জয়নাল আবেদিনের। তিনি যাবেন খাগড়াছড়ি। তিনিও টিকিট পাননি।
সায়েদাবাদে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার নজরুল ইসলাম বললেন, যাত্রীদের চাপ আছে। সকাল থেকে যাত্রীরা আসছেন।
গাবতলী ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রওশানুল হক সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, গাবতলীতে যাত্রীদের মোটামুটি ভিড় আছে। সেটা ব্যাপক আকারে না। দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে আসছে। যদি বাসগুলো সময়মতো ঢাকায় ঢুকতে পারত, তাহলে এই ভিড় থাকত না।
No comments